ভালোবেসে হোক আর পারিবারিকভাবেই হোক একটি মেয়ের জীবনের পথচলার সঙ্গী হয়ে থাকে তার স্বামী। তাকে ঘিরে থাকে তার অনেক স্বপ্ন। তাকে ভালোবেসে সারা জীবন পার করার প্রতিজ্ঞাও করে থাকেন। তবে অতিরিক্ত ভালোবাসা কখনো কখনো স্বামীর জন্য অসস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার একটু শান্তি খুঁজতে হয়তো অন্য কারো সঙ্গ তার ভালোলাগতে থাকে আর অর্ধাঙ্গীর সঙ্গ লাগতে থাকে অসহ্য। আবার মাঝে মাঝে অতিরিক্ত বিশ্বাস জন্ম দেয় পরকীয়ার। তবে যাই হোক আর যেভাবেই হোক পরকীয়া থেকে স্বামীকে দূরে রাখতে মাথায় রাখতে পারেন কিছু বিষয়।
সন্দেহ
অহেতুক সন্দেহ কোনো ভালো ফলাফল টেনে আনে না। আপনি যখন আপনার স্বামীকে নানা ভাবে সন্দেহ করবেন তখন সে হয়তো আপনার ভয়ে সব কথা আপনার সাথে ভাগাভাগি করবেনা। আর এতে আপনার সাথে তার যেমন দূরত্ব বাড়বে তেমনি অন্য আরেকজনের সাথে দূরত্ব কমবে। স্বামীকে অহেতুক জেরা করবেন না। তাকে সময় দিন। তার কাছে থেকে তার কথা শুনে রাগান্বিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় তা সমাধান করুন। নয়তো আপনার এই সন্দেহ তাকে পরকীয়ার দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
কর্তৃত্ব
তার উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেবেন না। সেও একজন মানুষ। তার নিজেরো ভালোলাগা মন্দলাগা আছে। তাকে তা প্রকাশ করতে দিন। তার সাথে যতটা সম্ভব সময় কাটান। বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে এই নয় স্বামীরই কেবল সব দ্বায়িত্ব। আপনারো কিছু দ্বায়িত্ব আছে। নয়তো অন্য কারো প্রলোভনে পড়তে পারে। তার কাছে সেই মানুষটিকেই ভালো লাগা শুরু করবে যে তার উপর কোনোকিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। তাই স্বামীকে পরকীয়া থেকে বাঁচাতে শাসনের মনোভাব ত্যাগ করুন।
ভালোবাসা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বিয়ের কয়েক বছর গেলেই স্ত্রী মনে করতে থাকেন যে এখন আর নিজেদের মধ্য ভালোবাসার কী আছে। তার জন্য নিজেকে আগের মত সাজিয়েগুছিয়ে রাখার কী প্রয়োজন? যদি এমনটি মনে করে থাকেন তা ভুলে যান। প্রত্যকটা মানুষই চায় তার ভালোবাসার মানুষের কাছে থেকে নতুন ভালোবাসা পেতে। স্বামী বলে আপনি তাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাকে গিফট দিন। ক্যান্ডেল নাইট ডিনারে নিয়ে যান। তার সাথে সময় করে ঘুরতে যান। যা তাকে আপনার প্রতি আরো আকৃষ্ট করবে।
স্বামীর আত্মীয়-স্বজন
স্বামীর আত্মীয়দের মূল্যায়ন দিন। তাদের সাথে সময় কাটান। দেখবেন আপনার স্বামীর সাথেও আপনার সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠছে।