বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় ১৩ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সন্ধ্যা নদীর দাসেরহাট এলাকায় এ লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা ১৩ লাশের মধ্যে এক শিশু, পাঁচ নারী ও সাত পুরুষ রয়েছে।
এর মধ্যে উত্তর মঠবাড়িয়া গ্রামের মজিবর ব্যাপারীর স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৩০) এবং জিরারকাঠি গ্রামের মনোয়ারা বেগমকে (৬০) শনাক্ত করা গেছে। নিহত অন্যদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন বিকেল ৪টায় ৫০ মিনিটে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, এমএল ঐশী নামে ওই লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। এখন পর্যন্ত এক শিশু ও পাঁচ নারীসহ ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
লঞ্চটি থেকে উদ্ধার হওয়া যাত্রী আসলাম মিয়া বলেন, ‘অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মসজিদবাড়ি ঘাট থেকে বানারীপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় লঞ্চটি। কিন্তু সন্ধ্যা নদীর মোহনায় লঞ্চটি ডুবে যায়।’
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ১৩টি লাশ ও ১৫ থেকে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ১৩ জন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, প্রায় দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে ৬০ ফুট পানির নিচে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির সন্ধান পাওয়া যায়। ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত নিখোঁজদের স্বজনদের মাধ্যমে ১৩ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, লাশগুলো মসজিদবাড়ি দারুস সুন্নত আলীম মাদ্রাসা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের মাঠে রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. তালুকদার মোহাম্মাদ ইউনুচসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস