বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আজ থেকে তিনদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাহী আদেশে এই ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটির শর্তগুলো আগের ছুটির মতোই। সাধারণ ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরাও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন। এছাড়া জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলোও এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। আর আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দেবে।
এর আগে, সরকার গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে। ওই সময় প্রথমে দুইদিন (২১ ও ২২ জুলাই) সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে তা বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে কয়েক দিন সীমিত সময়সূচিতে অফিস চলে। তারপর ৩১ জুলাই থেকে স্বাভাবিক সময়সূচিতে অফিস শুরু করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত মাসে কয়েক দিন ছুটি এবং আরও কয়েক দিন সীমিত সময় অফিস চলার পর আজ সোমবার থেকে আবারও তিন দিনের (৫,৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
এম জি