কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা বিবেচনায় রেল যোগাযোগ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই কোনো ট্রেন সীমান্ত পাড়ি দেয়নি। এর মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা এলো। একইভাবে বন্ধ আছে কলকাতা এবং ঢাকার মধ্যে বাস চলাচল।
এ ব্যাপারে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনায় চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ছাড়াও নিউ জলপাইগুড়ি চলাচলকারী মিতালি এক্সপ্রেসের সব শিডিউল আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জুলাই থেকেই বন্ধ রয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস আগামী ৭ আগস্ট যাওয়া ও আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই ট্রেন দুটির শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। শর্তাবলি সাপেক্ষে বাতিল শিডিউলের ভাড়ার সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তায় পাঁচদিন করে চলে। গত ১৬ দিন ধরেই এই ট্রেন বন্ধ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে মূলত চিকিৎসা, পর্যটন, পড়াশোনা ছাড়াও বিভিন্ন কারনে এই ট্রেনের চাহিদা তুঙ্গে থাকে।
এদিকে, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার জেরে রেলসেবা বন্ধ থাকার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বিএইচ