কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা কোনোমতে এক কথা নয়। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, স্বাধীনতার মহানায়ক। আজকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি যেভাবে জ্বলতে-পুড়তে দেখলাম, এটি দেখার আগে আমার মৃত্যু হলে অনেক ভালো হতো।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ অনেক অন্যায় কাজ করেছে। কিন্তু শেখ মুজিব তো কিছু করেন নাই, সে বাঙালি জাতিকে অনেক সম্মানিত করেছেন। আজকের এই ধ্বংসযজ্ঞ ভবিষ্যৎ ইতিহাসে বাঙালি জাতির জন্য একটা কলঙ্ক হয়ে থাকবে।
ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করুন। সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষা করুন। আওয়ামী লীগ দল করলেই কোনো দোষের নয়, কোনো আওয়ামী লীগের গায়ে হাত দেবেন না। দেশে শান্তি স্থাপন করুন। আমি চাই এখন থেকে দেশে শান্তি আসুক।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, তার (ড. ইউনূস) এক মুহূর্তে প্যারিসে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে না পারলে তারও পরিণতি এমন হবে। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলছি। সবাইকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে বলছি। ছাত্রবন্ধুদের অভিনন্দন জানিয়ে বলব, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা বড় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হবে না এটাই আমি আশা করি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকবেন, তার সম্মান যুগ যুগ থাকবে। যারা এই অপকর্ম করছে তাদের একদিন না একদিন বিচার হবেই।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কিছু হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে যে বিপর্যয় এসেছিল এটা তার চাইতে বড় বিপর্যয় নয়। কিছুটা সময় তাদের কষ্টে যাবে। কিন্তু এটা একেবারে কেয়ামত হয়ে যাবে না।
এম জি