রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আক্তার জাহান জলির স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় ‘প্রত্যেকটা আত্মহত্যা একরকম হত্যাকা-। প্রত্যেকটা হত্যাকা-ই একেকটি রাজনৈতিক হত্যাকা-’ উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন।
রোববার দুপুরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে ১২৩ নম্বর কক্ষে এ শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিভাগের সামনে থেকে একটি শোক র্যালি বের করে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে শোক সভায় অংশ নেয়।
শোকসভায় নিউটন আরো বলেন, মানুষ কী ধরনের পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেয়? জলি’র মৃত্যু আমাদেরকে এই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে। জলি কেন এতো একা হয়ে পড়েছিল? তার এ মৃত্যুর পেছনে আমাদেরও দায় আছে। আমরা কোনোভাবেই এ দায় এড়াতে পারি না।’
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাতিল সিরাজের সঞ্চালনায় সভায় বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পা-ে বলেন, ‘মমলার ভিসেরা রিপোর্ট এখনো আসেনি। মমলার বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। রাষ্ট্র আমাদের এ হত্যার বিচার করার ক্ষমতা দেয়নি। শুধুমাত্র আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে পারি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মামলা চালাতে বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান সভাপতি।
শোকসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জলি’র বড় বোন ইশরাত জাহান, ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান, মহিলা পরিষদের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাধবী রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেত্রী মাহবুবা কানিজ কেয়াসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
সভার শুরুতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল ‘আকতার জাহানের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য’ শিরোনামে জলি’র জীবনী পাঠ করেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ক্লাব জুবেরী ভবনে আকতার জাহান জলির নিজ কক্ষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জলির ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের নামে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন।
সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/এসএস