সরকারের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর ও আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা গভর্নর বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে ডেপুটি গভর্নর পদে নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো তেমন অভিযোগ ওঠেনি এবং তাঁরা দায়িত্বেও নতুন।
এদিকে দুটি শূন্য পদে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দিতে ইতিমধ্যে দেশের সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
এ নিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খান বলেন, দুজনের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তাঁরা দায়িত্ব পালন করে যাবেন। অন্যরা ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন, তা গৃহীত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল রোববার কয়েকজনকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাঁদের জানানো হয়, আজ সোমবার বেলা একটার মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ সকালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাসও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের পদত্যাগপত্র দিয়েছেন গভর্নর বরাবর। তাঁদের পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তবে মন্ত্রণালয় থেকে ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানকে কিছু জানানো হয়নি। জানা গেছে, নূরুন নাহার নিয়মিত অফিস করছেন। হাবিবুর রহমান কাল থেকে অফিস শুরু করবেন।
সরকার পরিবর্তনের পর গত বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিক্ষুব্ধ একদল কর্মকর্তা ও কর্মচারী গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভবনে অবস্থিত গভর্নরের ফ্লোরে ঢুকে পড়েন এবং একজন ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। অন্য ডেপুটি গভর্নরদের বের করে দেওয়া হয়।
এএ