নোয়াখালী-৬ আসেনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী-ছেলে ও ভাইসহ পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় মোহাম্মদ আলীর পরিবারের পাঁচজন ছাড়াও ১৮জনের নামোল্লেখ ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে হাতিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিম (৪৭) বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এমপি পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন- তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস (৬২), ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন (৫৯), ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক আলী অমি (৩২) ও মাহতাব আলী অদ্রি (২৬)। মামলার অন্য আসামিরা সবাই এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গেছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আটক মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে ওই মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৪টায় স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি চরকৈলাশ গ্রামের ওছখালী-সাগরিয়া সড়কের এমপির পোল এলাকায় পৌঁছলে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, ভাই মাহবুব মোর্শেদ লিটন ও ছেলে আশিক আলী অমির নির্দেশে ও নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে বাদী আবদুল করিম, সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাছির ও হাতিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমান গণিসহ অনেকে আহত হন।
এছাড়া সন্ত্রাসীরা সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুবেল উদ্দিনের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এতে এক লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এর আগে গত রোববার (১১ আগস্ট) ভোরে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর কৈলাস এলাকার বাড়ি থেকে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে হেফাজতে নেয় নৌবাহিনী। পরে থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে সোপর্দ করে। পরদিন বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাতিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসেন।
বিএইচ