স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা সারাদেশে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের সব থানার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানায়, দেশের সর্বমোট ৬৩৯টি থানার সবগুলোর অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানার সবগুলো এবং জেলার ৫২৯টি থানার সবগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া রেলওয়ে পুলিশের ২৪টি থানার অপারেশনাল কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাকরিতে কোটার সংস্কার চেয়ে মাঠে নেমেছিল শিক্ষার্থীদের গড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই আন্দোলন দমাতে শুরু থেকে মারমুখী ছিল পুলিশ। ছাত্রদের সেই আন্দোলন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক দমন-নিপীড়ন আর ধরপাকড়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। কোটার আন্দোলন গিয়ে ঠেকে এক দফার সরকার পতনের আন্দোলনে।
সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগে ভেঙে পড়ে পুলিশের চেইন অব কমান্ড।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। থানা, ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। ছাত্র-জনতার নিহতের সংখ্যা চার শতাধিক।
সরকার পতনের পর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ছাত্র-জনতার রোষের মধ্যে ডিএমপিসহ পুলিশের অধিকাংশ সুবিধাবাদী ও সরকার বা আওয়ামী ঘেঁষা কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান, কেউ কেউ এখনও আছেন নজরদারিতে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন ও সংস্কার করার কথা বলা হচ্ছে সর্বমহলে।
এর মধ্যে পুলিশে ব্যাপক রদবদলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরাতে উদ্যোগ নেন নতুন আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিএইচ