বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজকের ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচিতে ঢাকার বিভিন্ন মানুষের ফোন তল্লাশি করে হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিনষ্ট হয়, এমন কিছু তাঁরা সমর্থন করেন না।
বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, কারো ফোন চেক করা, নিরস্ত্র-নিরপরাধ ব্যক্তির উপর চড়াও হওয়া নিন্দনীয়। একিভাবে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মিডিয়ায় বাজেভাবে উপস্থাপন মানবাধিকার লঙ্ঘন। অপরাধীদের আইনের প্রক্রিয়া অনুসারে বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অভ্যুত্থান ন্যায় ও নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিলো। আমাদের যেমন প্রতিরোধ জারি রাখতে হবে অন্যদিকে নিজেদের অভ্যুত্থানের স্পিরিট বজায় রাখতে হবে।
এদিকে, বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। ওই বার্তায় বলা হয়, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিনষ্ট হয়, এমন কোনো কিছুই আমরা সমর্থন করি না। এমন কাজ পুরোনো বৈষম্যের দৃষ্টান্তকেই আবার নতুনভাবে ডেকে আনছে। তাই ফোন চেকসহ নাগরিকের ব্যক্তিজীবনের স্বাভাবিক যাত্রা বিনষ্ট হয়, এমন কিছুই করবেন না।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের পথে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ বলে উল্লেখ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের বার্তায় বলা হয়েছে, তাই সবাইকে আহ্বান করা যাচ্ছে, সারা দেশে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিন। স্বাভাবিক জনজীবন যাতে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, তা নিশ্চিতে রাজপথে থাকুন।
এএ