পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এফআইডি সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট ড. এম মাশরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। তবে বিএসইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন ড. এম মাসরুর রিয়াজ। এখন তার নিয়োগ বাতিল করার কাজও চলছে বলেও জানা গেছে।
আগামীকাল সোমবারের মধ্যে মাসরুর রিয়াজকে বিএসইসি'র চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
বাংলাদেশ ও বিদেশে ব্যাংকখাতে সুদীর্ঘ ৩০ বছর বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের। তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ছিলেন।
রাশেদ মাকসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৯২ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকে একজন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনের শুরু করেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এবং সিটি ব্যাংক এন. এ. বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কান্ট্রি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাফল্যমণ্ডিত ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন কর্পোরেট ব্যাংকিং গ্রুপ জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনার পদগুলোতে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন সিটি ব্যাংক এন. এ. এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রুপের প্রধান। নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ সক্ষমতার জন্য তার সুনাম রয়েছে। এরপর তিনি বাংলাদেশে এই ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন বিভাগের পরিচালক ও প্রধানও হন। তারপরে পদায়ন পান সিটি ব্যাংকের জাকার্তা অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে।
২০১১ সালে রাশেদ মাকসুদকে সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে মিডাস ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে একজন উপদেষ্টাও ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএসইসি'র চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
গত ১৩ আগস্ট পলিসি এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজকে বিএসইসি'র চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁর এই নিয়োগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ এবং বিএসইসির কর্মকর্তাদের একাংশ আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির মুখে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে বিএসইসির কর্মকর্তারা তাঁদের আপত্তি প্রত্যাহার করেন।
নিয়োগের পর একটি পক্ষ সামাজিক মাধ্যমে মাসরুর রিয়াজের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তাঁর সখ্য। মূলত একটি ছবি কেন্দ্র করে এই প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর বিএসইসির একটি পক্ষও তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলে।
এএ