পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ম্যাচেও ধরে রেখেছে টাইগাররা। এতে সিরিজ জয়ের সুবাস পাচ্ছে শান্ত বাহিনী, এতে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় রয়েছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য ১৪৩ রান দরকার সফরকারীদের। হাতে রয়েছে পুরো একটি দিন এবং ১০ উইকেট।
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হওয়ার বাংলাদেশকে ২৬২ রানে থামিয়ে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ১৭২ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। এতে ১৮৪ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে শুরু পর চা বিরতিতে গেল বাংলাদেশ দল। ফিরে এসে মাত্র এক ওভার হওয়ার পরই খেলা বন্ধ হয়ে গেল আলোকস্বল্পতায়। মাঠের সব ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হলেও খেলা চালানো সম্ভব হয়নি। প্রায় ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চতুর্থ দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করে আম্পায়ার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্য থেকে ১৪৩ রান দূরে রয়েছে তারা। দুই ওপেনার জাকির হাসান ২৩ বলে ৩১* রানে ও সাদমান ইসলাম ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত আছেন। এখান থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করবে তারা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো করেছিল তৃতীয় দিনে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান। তবে ৯ ওভার পরেই ছন্দ হারায় পাকিস্তান। ২০ রান করে সাইম আইয়ুব আউট হলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পাক অধিনায়ক শান মাসুদ।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি বাবর আজমও। ১৮ বলে ১১ রান করে নাহিদ রানার দ্বিতীয় শিকার হন এই তারকা ব্যাটার। এতে দলীয় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সাউদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন রিজওয়ান। কিন্তু ২ রান করে নাহিদ রানার তৃতীয় শিকার হন শাকিল।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ মিস করেন সাদমান। সেই সুযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই তারকা ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আঘা সালমান।
তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরেই রিজওয়ানের প্রতিরোধের দেওয়াল ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ আউট করেন তিনি। পরের বলেই মোহাম্মদ আলি আউট হলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে দলের হাল ধরেন আঘা সালমান। কিন্তু মির হারমাজাকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন হাসান মাহমুদ। সেই সঙ্গে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ১৮৪ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। আরেক তরুণ পেসার নাহিম রানা নেন ৪ উইকেট। বাকি একটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এএ