সম্পর্ক কীসে মজবুত হয়? দাম্পত্যের সেই গোপন সূত্রটিই বা কী? টুইঙ্কল খান্না কবুল করেছেন, তিনি সেই গূঢ় রহস্যটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। জেনেছেন তাঁর স্বামীর কাছ থেকে। অক্ষয় কুমারই না কি তাঁকে হাতে ধরে শিখিয়েছেন সেই দাম্পত্যের গুপ্ত কথা।
বিষয়টি আর কিছুই নয়- প্রতারণা! নিজেই ভেবে দেখুন না, প্রতারণা লুকিয়ে থাকলে কি আর সম্পর্ক থাকে? তখন তা সহজেই ভেঙে যায়। টুইঙ্কল খান্না সম্প্রতি জানিয়েছেন, দাম্পত্যের মধ্যে যে প্রতারণার স্থান নেই- সে কথা অক্ষয়ই তাঁকে বুঝিয়েছেন! এবং, প্রতারণাহীন সম্পর্ক কী ভাবে গড়ে তুলতে হয়, শিখিয়েছেন তাও!
বেশ কথা! এর চেয়ে ভাল আর কীই বা হতে পারে! খটকা শুধু একটা জায়গায়। টুইঙ্কলকে এরকম একটা বিষয় শেখানোর দরকার কেন পড়ল তাঁর? নিশ্চয়ই তিনি স্ত্রীর থেকে ৭ বছরের বড়, তা বলে এই বিষয়টা তো টুইঙ্কলের অজানা থাকার কথা নয়। সবাই জানেন, প্রতারণা সম্পর্কে কেমন ছাপ ফেলে! তবে? টুইঙ্কলের কি কোনও লুকানো প্রেম ছিল যা জানতে পেরে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান অক্ষয়?
বলিউডের নিন্দুকেরা যদিও বলছেন অন্য কথা। তাঁদের মতে, এসবই অক্ষয়ের ভাল সাজার চেষ্টা! টুইঙ্কলকে বিয়ের আগে তাঁর সম্পর্ক ছিল রবিনা টন্ডন আর শিল্পা শেঠির সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করে সেই সম্পর্ক ভাঙেন অক্ষয় নিজেই! তার পর বিয়ে করেন টুইঙ্কলকে। বিয়ের পরেও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে চলেছিল তাঁর হালকা একটা প্রেমপর্ব। সেই দিকে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই জন্যই স্ত্রীর কাছে এই প্রতারণাহীন সম্পর্কের নমুনা দেওয়া। অর্থাৎ যাঁর সঙ্গে যা-ই করে থাকুন না কেন তিনি, স্ত্রীকে প্রতারণা কখনই করবেন না! দিনের শেষে ফিরে আসবেন তাঁর কাছেই!
সেটা অবশ্য অক্ষয় করে দেখিয়েছেনও! সব কিছুর পরে স্ত্রী টুইঙ্কল আর ছেলেমেয়ের কাছেই ফিরে আসেন তিনি! এভাবেই কি তাহলে স্ত্রীকে প্রতারণাহীন সম্পর্কের পাঠ দিয়েছেন তিনি? কে জানে! টুইঙ্কল তো পুরোটা খুলে বলছেন না!
সানবিডি/ঢাকা/এসএস