আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। ২০২১ সালের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের নিচে নেমেছে। গত এপ্রিল মাসেও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। খবর রয়টার্স
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক বাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনও ৭০ ডলারের নিচে নামেনি।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীন। কিন্তু সেই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় দেশটির তেল আমদানি কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক তেল বাজারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কমার এটাই মূল কারণ।
করোনা মহামারির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে আসায় তখন অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে এলো।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।
অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি- এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।
এএ