গাজীপুরের নোয়াগাঁওয়ের পাতারটেক এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত সাত সন্দেহভাজন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কেউ তাঁদের প্রকৃত পরিচয় জানলে পুলিশকে তা জানানোর অনুরোধ করেছ বাহিনীটি।
ডিএমপির ফেইসবুক পেজের ইনবক্স, হ্যালো সিটি অ্যাপস অথবা গাজীপুর জেলা পুলিশকে এসব তথ্য জানাতে বলেছে ডিএমপি। ডিএমপির অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিএমপি নিউজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেকে পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলির ঘটনায় সাত জন নিহত হয়। জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় ও জায়গায় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে। তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রকৃত পরিচয় জানা জরুরি।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর কমান্ডো অভিযানে নিহতদের পরিচয় প্রকাশের পর এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পুলিশ পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গির যে নাম জানিয়েছিল, পরে জানা যায়, এগুলো সঠিক নয়। এদের সবার নাম অন্য।
পুলিশ বলছে, জঙ্গিদের সাংগঠনিক নাম ও প্রকৃত নাম ভিন্ন। এ কারণেই তাদের প্রকাশ করার নামের সঙ্গে প্রকৃত নামের মিল পাওয়া যায়নি।
এরপর গত ২৬ জুলাই মিরপুরের কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর পুলিশ নিহতদের পরিচয় প্রকাশ না করে ছবি প্রকাশ করে তাদের পরিচয় জানতে চায়। এর পাশাপাশি মরদেহের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে থাকা আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে তাদের প্রকৃত পরিচয় জানা যায়।
গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া অভিযানের পর সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতায় মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করলেও অন্য দুই জঙ্গির পরিচয় জানানো হয়নি। একইভাবে ডিএমপি অনলাইনে তাদের ছবি প্রকাশ করে তাদের বিষয়ে তথ্য জানতে চায় পুলিশ।
এর ধারাবাহিকতাতেই শনিবার গাজীপুরের পাতারটেক অভিযানে নিহতদের এই ছবি প্রকাশ করে তাদের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলো পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এদের সম্পর্কে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
শনিবার ওই ঘটনার পাশাপাশি গাজীপুরের হাঁড়িনালে অভিযানে দুজন, টাঙ্গাইলে দুজন ও ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় একজন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হন। তাদেরও কারও পরিচয় জানা যায়নি এখনও।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস