রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড ছাত্রদল ও পৌর যুবদলের তিনকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মডেল টাউন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, সদস্য মান্না ও পৌর যুবদলের সদস্য মো. ইব্রাহিম। আহতরা বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহমেদ জানান, সন্ধ্যার একটু পর দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই গ্রুপকে সরিয়ে দিয়েছে। সংঘর্ষে আহত তিনজন বাঘাইছড়ি হাসপাতালে ভর্তি আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, মডেল টাউন এলাকায় টোল আদায় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সমস্যা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দলীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. নাহিদ জানান, টোল নিয়ে সমস্যা ছিল তা গতকাল সমাধান হয়েছে। পরে ফেসবুকে ছবি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার নেতৃবৃন্দরা আলোচনায় বসেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূর উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় নব্য বিএনপির কিছু লোকজন আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’
কি কারণে হামলা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেক নেতাকর্মী বের হয়েছে। বিএনপি কমিটিতে থেকেও অনেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নাছির ও রিয়াদ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের কর্মীরা সেই সময়ের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় নাছির ও রিয়াদের নেতৃত্বে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টোল নিয়ে যে ঝামেলা ছিল তা নিয়ে বৃহস্পতিবার দলীয় নেতাকর্মীরা বসে সমাধান করেছে।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলী বলেন, ‘দলের কিছু অনুপ্রবেশকরীরা দলের সুনাম নষ্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পৌর বিএনপির সদস্য নাছির ও তার ছেলের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আলোচনা চলছে। যদি দলীয় কেউ অন্যায় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আহতরা চাইলে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।’
বিএইচ