যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দ্বিতীয়বারের মত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএনের এক জরিপে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয়বারের বিতর্কেও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৭টায় মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে দু’জনের মুখোমুখি বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক শেষ হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন এবিসি টেলিভিশনের মার্থা রাডাৎস ও সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপার। বিতর্কের পরপরই দু’প্রার্থীর মধ্যে কে এগিয়ে আছেন সে বিষয়ে জরিপ করা হয়।
জরিপে দেখা গেছে, হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন জানিয়েছেন ৫৭ ভাগ ভোটার। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ছিল ৩৪ শতাংশ ভোটারের।
এর আগে প্রথম বিতর্কে হিলারির প্রতি সমর্থন ছিল ৬২ ভাগ ভোটারের এবং ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ছিল ২৭ ভাগ ভোটারের। তবে দ্বিতীয় জরিপে নিজের শক্ত অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
স্বাস্থ্যসেবা, ট্রাম্পের বিতর্কিত ভিডিও, হিলারির ব্যক্তিগত মেইল, বিল ক্লিনটনের নারী আসক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে একে অন্যকে তীর্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এতটা বিদ্বেষপূর্ণ টেলিভিশন বিতর্ক অনেকেই এর আগে কখনো দেখেন নি বলে মন্তব্য করেছেন। হিলারি এবং ট্রাম্প পরস্পরের প্রতি যেভাবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষপূর্ণ এবং আক্রমণাত্নক ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই নজিরবিহীন।
তবে বিতর্কের শেষের দিকে দুজনকেই কিছুটা বিনয়ী হতে দেখা গেছে। হিলারি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, তিনি কখনো হাল ছাড়েন না। তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান। তিনি বেশ সংগ্রামী।
অপরদিকে হিলারি বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সন্তানদের পছন্দ করেন। তার মতে ট্রাম্প যা কিছু করে, আমি তার প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই একমত নই। কিন্তু তার সন্তানরা অসাধারণ।
প্রায় দেড় ঘণ্টার বিতর্কে উভয় প্রার্থী প্রায় ৪০ মিনিট করে সময় পেয়েছেন। তারা বেশ কিছু বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন।