ফুলশয্যার লাস্ট মিনিট টিপস

প্রকাশ: ২০১৫-১০-২৪ ০১:৩৯:৪৫


1433052335_496_1বিয়ের মরশুম চলছে। বিয়ের পর ফুলশয্যার রাতটিই কিন্তু নবদম্পতির কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। নতুন জীবনে পা রাখার পর দুটি মানুষের একসাথে বসবাসের প্রথম মূহূর্তটি হলো বিয়ের রাত। আর এই বিশেষ রাতটিকে ঘিরে অধিকাংশ মানুষ অনেক রকমের স্বপ্ন বোনে। কিন্তু অনেক সময় ছোট্ট কিছু অজ্ঞতার জন্য বিয়ের রাতটির মধুরতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই বিয়ের রাতের আগেই প্রয়োজন কিছু প্রস্তুতির। জেনে নিন পুরুষদের কিছু প্রস্তুতি সম্পর্কে যেগুলো বিয়ের রাতের জন্য অবশ্যই নেওয়া উচিত। কারণ এ সময় মনের দেওয়া নেওয়ার পালা সাঙ্গ করে শরীরি চৌকাঠ পেরোনোর সময়। তাই এই রাতে কোনওরকম ভুলচুকের খেসারত আপনাকে দিতে হতে পারে অনেকদিন পর্যন্ত। তাই শেষ মুহূর্তের কয়েকটি ছোট্ট টিপস জেনে রাখাটা দরকার।

মানসিক প্রস্তুতি

বিয়ের জন্য প্রতিটি পুরুষেরই মানসিক ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। হুট করে নতুন জীবনে পা দেওয়ার সময় অধিকাংশ পুরুষেরই আত্মবিশ্বাস থাকে না। কিন্তু নারীরা আত্মবিশ্বাসী পুরুষদেরকে বেশি ভালোবাসে। তাই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে একটি নতুন জীবনে পা দেওয়ার আগে নানান রকম ভয় ভীতি থাকে মনে। সেগুলোও ঝেড়ে ফেলা প্রয়োজন বিয়ের আগেই।

নিয়মিত ব্যায়াম

নারীরা সুঠাম দেহের পুরুষদেরকে পছন্দ করে। আর তাই সারা জীবন ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলেও বিয়ের আগে কিছুদিন ব্যায়াম ও ডায়েটের মাধ্যমে ভুড়ি এবং অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত।

স্টাইল, ত্বকের যত্ন ও পরিচ্ছন্নতা

বিয়ের আগে প্রয়োজন গ্রুমিং-এর। সুন্দর স্টাইলে চুল কাটুন। সেই সঙ্গে ত্বকের যত্নের জন্য ভালো কোনও পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। সেই সঙ্গে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। সুন্দর কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করতে ভুলবেন না বিয়ের রাতে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

যেহেতু এ দেশের অনেক মহিলারই এখনও জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই, তাই বিয়ের রাতে পুরুষসঙ্গীকেই নিতে হবে সেই দায়িত্ব। স্ত্রী উপর নির্ভর করবেন না, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি গ্রহণ করবেন সেটা আপনাকেই ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সঙ্গীকে মানসিক ভাবে সাহায্য করার মনোভাব

বেশিরভাগ মহিলাই বিয়ের রাতে শারীরিক মিলনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে পারেন না। আর তাই তাঁরা স্বামীর কাছ থেকে মনে মনে এই ব্যাপারে একটু সহযোগীতা আশা করেন। বিয়ের রাতেই তাই স্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে জোর করা উচিত না। বিশেষত অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা একটু সহজ হওয়ার আগেই শারীরিক মিলনের ব্যাপারে জোর করলে সম্পর্কটা সাড়া জীবনের জন্য তেঁতো হয়ে যেতে পারে।

স্ত্রী জন্য উপহার কিনে রাখুন

বিয়ের রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। আর তাই এই রাতটিকে আরও বেশি রোমান্টিক ও স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্ত্রীর জন্য বিশেষ কোনো উপহার কিনে রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে হীরের আংটি অথবা ছোট্ট কোনও ফটোফ্রেমে বন্দী করা নিজেদের প্রিয় কোনো মূহূর্তের ছবি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট/বড় যা খুশি উপহার দিন। নতুন জীবনের শুরুতেই আপনার এই ছোট্ট ভালোবাসা আপনার স্ত্রীকে মুগ্ধ করবে।

কথা বলুন

শয্যায় শুরুতেই মিলনের প্রতি অধিক মনোযোগ দেবেন না। এতে গোটা ব্যাপারটাই তেতো হয়ে যাবে। স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। তাঁকে বোঝান, আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন।