টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করল সিজন ড্রেসেস শ্রমিকরা
জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২৪-০৯-২৩ ১৫:৪২:৩৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা আবারও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রী, পথচারী ও এলাকাবাসীর দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে ওই কারখানার শ্রমিকেরা একই স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় স্থানীয় এশিয়া পাম্পের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ করে।
শ্রমিকদের দাবীগুলো হলো দেড় মাসের বকেয়া বেতন, ফেব্রুয়ারি ও মার্চের ওভারটাইমের টাকা, তিন বছরের অর্জিত ছুটির টাকা, প্রতি মাসের সপ্তম কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধের দাবীতে তারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
স্থানীয়রা বলেন, সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার মালিক প্রতি মাসেই শ্রমিকদের বেতন নিয়ে ঝামেলা করেন। এর আগেও কয়েকবার শ্রমিকেরা আন্দোলন করে তাদের বেতন আদায় করেছে।
শিল্প পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, সিজন ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানায় ১ হাজার ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর জুলাই মাসের অর্ধেক এবং আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে। বাকি অর্ধেক বেতন রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পরিশোধের প্রতিশ্রতি দিলে শ্রমিকেরা সারাদিন অপেক্ষা করলেও কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেতন দেয়নি। তাই শ্রমিকেরা আবারও বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। দুপুর পর্যন্ত তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। প্রতি মাসেই সঠিক সময়ে বেতন দেয় না কর্তৃপক্ষ। বেতনের সময় হলেই কারখানার মালিক প্রতি মাসেই ঝামেলা করে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা মহাসড়কের দুদিক থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। গাজীপুর শিল্প ও মহানগর পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (টঙ্গী জোন) মোশারফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। তাঁরা দেড় মাসের বেতন পাবেন। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জুলাই মাসের বাকি অর্ধেক বেতন পরিশোধের কথা দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। ওইদিন শ্রমিকেরা বেতনের জন্য সারা দিন কারখানায় বসে অপেক্ষা করলেও কারখানার মালিক বেতন দেননি। এমনকি তাঁদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগের চেষ্টাও করেননি। শ্রমিকেরা বাধ্য হয়েই আজকেও সড়কে নেমেছেন।
এম জি