ভারতের চাল রফতানিকারকরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতে বাড়তে পারে বাসমতি চাল রফতানি বলে জানিয়েছেন। ভারত সম্প্রতি বাসমতি চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) বাতিল করেছে। এতে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে আমদানি বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে এ খাতে দেশটির অংশীদারত্ব বাড়বে।
এ ব্যাপারে ভারতের কেআরবিএল লিমিটেডের বাক এক্সপোর্টস বিভাগের প্রধান অক্ষয় গুপ্ত রয়টার্সকে বলেন, ‘ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশটির রফতানিকারকদের আরো প্রতিযোগিতামূলক দামে বাসমতি চাল রফতানি করার সুযোগ দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে রফতানিও বাড়বে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনুকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতে বাসমতি চালের উৎপাদন চলতি বছর ১০-১২ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নয়াদিল্লি থেকে রফতানি আরো বাড়বে।’ভারতের অন্যতম শীর্ষ বাসমতি চাল রফতানিকারক কোম্পানি ডিডি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক গৌরব ভাটিয়া বলেন, ‘এমইপি বাসমতি চালের কিছু গ্রেড রফতানিতে বাধা সৃষ্টি করেছিল। এটি অপসারণের কারণে বৈশ্বিক আমদানিকারকরা সব ধরনের বিকল্পে প্রবেশাধিকার পাবে।’
ভারত ও পাকিস্তান প্রিমিয়াম গ্রেডের বাসমতি চালের একমাত্র উৎপাদক দেশ। ভারতীয় বিধিনিষেধের কারণে কিছু ক্যাটাগরিতে বিশ্ববাজারে পাকিস্তানের হিস্যা বেড়েছে। এ বিষয়ে ভিএক্সপোর্টের পরিচালক দেব গার্গ বলেন, ‘ভারত বাসমতির চালে এমইপি অপসারণের ফলে সেই হারানো হিস্যা পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য প্রতিটন ৯৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সরকার প্রথমে এমইপি টনপ্রতি ১ হাজার ২৫০ ডলার নির্ধারণ করেছিল। পরে এটি কমিয়ে দেয়া হয়।
এনজে