সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনির হোসেন। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া চারটার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিকেল চারটার দিকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল সোয়া চারটার দিকে তারা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সড়কের উভয় পার্শ্বে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট চলে অবরোধ কর্মসূচি। কর্মসূচি থেকে নিহত শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
এসময় 'মনির ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'পুলিশের খামখেয়ালী, মানিনা মানবো না', 'ট্রাফিকের অনিয়ম, মানিনা মানবো না', 'নিরাপদ সড়ক চাই', 'ট্রাফিকের অবহেলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই—সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে উপরমহল থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এসময় সরকারের কাছে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, নিহত মনির হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলায়। তার বাবার নাম বেল্লাল হোসেন। মনির ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিল। বিকেল পৌনে তিনটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগরের কালুর মোড় এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাথায় মারাত্মকভাবে জখম অবস্থায় মনিরকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে একই দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম মারা যান। তাঁর বাড়ি মাগুড়ায়। দৌলতপুর থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
এম জি