টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কা

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-০৯-২৮ ১০:২৭:৩০


উজান থেকে নেমে আসা ঢল দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে ভারী বর্ষণের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে । শুক্রবার এক পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তায় এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় ছিল ৫১ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার। সেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।

বৃহস্পতিবার থেকে মাঝারি ধরনের টানা বর্ষণ হচ্ছে রংপুর অঞ্চলে। এর মধ্যে শুধু রংপুরেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব নদীর পানি বিপৎসীমা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী একদিন পর্যন্ত নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী দু’দিন পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্ক-সীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এসব জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুরের কোথাও কোথাও আরো মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এনজে