চলতি সপ্তাহে থাইল্যান্ডে চালের রফতানি মূল্য কমে এক বছরের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে প্রতিযোগী দেশগুলোয় চালের তুলনামূলক কম দাম ও নিম্নমুখী চাহিদা। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
থাইল্যান্ডে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের টনপ্রতি মূল্য ছিল ৫৫০-৫৬০ ডলার। এটি গত বছরের ২০ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। গত সপ্তাহে দেশটিতে চালের টনপ্রতি মূল্য ছিল ৫৬২-৫৬৫ ডলার।
ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় থাইল্যান্ডের চালের কিছুটা চাহিদা থাকলেও আমদানিকারকরা অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলক সস্তা দামে চাল কিনছেন।’অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে ভারতে চালের দাম বেড়েছে। ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যদিও এশিয়া ও আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের কাছে এখনো ভারতের চালের চাহিদা নিম্নমুখী।
শীর্ষ রফতানিকারক দেশটিতে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চাল টনপ্রতি ৫৩০-৫৩৬ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫২৮-৫৩৪ ডলার।মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে রুপির ঊর্ধ্বমুখী বিনিময় হার ভারতীয় চালের দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু পণ্যটির চাহিদা এখনো নিম্নমুখী। ভারত রফতানি শুল্ক কমাতে পারে—এ আশায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি স্থগিত রেখেছেন।’
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) প্রতি টন ৯৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্তে এমইপি বাতিল করেছে ভারত সরকার। এছাড়া দেশটিতে সম্প্রতি চালের মজুদ আগের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে ভারত সরকার নন-বাসমতি চালের রফতানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বিবেচনা করছে।
এদিকে বাংলাদেশেও চলতি সপ্তাহে চালের দাম আবার বেড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী বলছেন, সাম্প্রতিক বন্যার কারণে দেশে চাল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
এনজে