তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের নতুন স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ক্ষেত্রটিতে খনন করা নতুন তিনটি কূপ এই গ্যাস স্তরের সন্ধান দিয়েছে। স্তরগুলোতে গ্যাসের চাপও ভালো। এমনকি তা বর্তমান স্তরগুলোর গ্যাসের চেয়ে বেশি। এ কারণে নতুন স্তরের গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনেযাগ্য। এর মধ্যদিয়ে গ্যাসক্ষেত্রটির প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ বাড়লো।
তিতাস গ্যাসক্ষেত্র দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও বড় গ্যাসক্ষেত্র। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এই গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ করে থাকে।
এদিকে প্রথম আলো জানিয়েছে, এর আগে বাপেক্স তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ আলোচিত স্তরগুলোতে গ্যাসের প্রাথমিক সন্ধান পায়। সে অনুসারে কূপ খনন করা হলে গ্যাসের অবস্থান প্রমাণিত হয়।
ওই ত্রিমাত্রিক জরিপ প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে আরও গভীরে নতুন নতুন স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাপেক্স আরও একটি কূপ খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পরিচালক সংস্থা বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, নতুন স্তরগুলো থেকে কূপ বন্ধ রাখা অবস্থায়ও ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি) গ্যাসের চাপ পাওয়া যাচ্ছে। এটি তিতাসের বিদ্যমান অন্যান্য কূপের চেয়ে বেশি। এসব কূপে এখন গ্যাসের চাপ ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ১০০ পিএসআই পর্যন্ত।
তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে বর্তমানে ২২টি কূপ চালু আছে। তাতে প্রতিদিন গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে ৫২ কোটি (৫২০ মিলিয়ন) ঘনফুট। নতুন তিনটি কূপ খনন শেষ হয়েছে। আরও একটির খননকাজ শুরু হচ্ছে। এগুলো চালু হলে এই ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৬০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে বিজিএফসিএলের সূত্র জানায়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস