কয়েক দিনের বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র-তিস্তাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভাঙছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। গত কয়েকদিনর টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন- এদিনে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ওয়াটার লেভেল ২৯ দশমিক ৬৪ মিটার ও ডেঞ্জার লেভেল ২৯ দশমিক ৩১ মিটার। গত ২৪ ঘন্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৫৪ সেন্টিমিটার। নতুন করে আর বৃষ্টিপাত না হলে আগামী ২৪ ঘন্টা পর থেকে পানি কমার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার মধ্যে ৭ ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এসবের মধ্যে- হরিপুর, শ্রীপুর, তারাপুর, বেলকা, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়ন। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে কোথাও কোথাও ভাঙছে ফসলি জমি। এ পর্যন্ত ২ ইউনিয়নে ৫টি বসতবাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। চরম দুশ্চিন্তায় আছেন নদীর পাড়ের মানুষজন।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু বলেন, আমার ইউনিয়নের পাড়া সাদুয়া ও লখিয়ার পাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২ টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এভাবে চললে ভয়াবহ রুপ নিবে তিস্তা নদী।
তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যাপক তৎপর আছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি এবং আমরা নিজেরাও যাচ্ছি বলে জানালেন- পিআইও ওয়ালিফ মন্ডল।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)নাজির হোসেন বলেন, বন্যা প্লাবিত এলাকা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান- পানির চাপে ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এনজে