ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) মহাসচিব পদ থেকে আলমগীর মজুমদারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অসদাচরণের অভিযোগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ফ্রন্টের জরুরি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু।
বিএনপি জোট থেকে বের করে দেওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিজ দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)সহ কয়েকটি ছোট দল নিয়ে আলাদা রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করেন শেখ শওকত হোসেন নিলু। আলমগীর মজুমদারও বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) একাংশের চেয়ারম্যান হিসেবে গত প্রায় ২ বছর ধরে এনডিএফ জোটে রয়েছেন। তখন থেকে শেখ নিলু এ জোটের চেয়ারম্যান ও মজুমদার মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ শওকত হোসেন নিলু জানান, ফ্রন্টের ওই বৈঠকে শুধু আলমগীর মজুমদারকে অব্যাহতি প্রদানই নয়, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জোটের চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব পদকে যথাক্রমে জোটনেতা ও সদস্য সচিব নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়। একইভাবে জোটের পরবর্তী সদস্য সচিব কে হবেন তা নির্বাচনের জন্য আমার ওপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে জোটের মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলেও এনডিপির চেয়ারম্যান হিসেবে আলমগীর মজুমদার এখনো এনডিএফ জোটে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আলমগীর মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখনো এনডিএফ জোটের মহাসচিব। নিলু সাহেব তার কিছু অনুসারীকে নিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জোটের মহাসচিব থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জোটের শরিকরা তা মানেনি।
তবে গত ৫ সেপ্টেম্বর যে জরুরি বৈঠকে এনডিএফের মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে বৈঠকের রেজ্যুলেশনে দেখা যায়, এতে ইসলামিক পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান এমএ রশিদ প্রধান ও ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরীসহ জোটের অধিকাংশ শীর্ষনেতারই স্বাক্ষর রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলমগীর মজুমদার বলেন, তারা ওই বৈঠকের রেজ্যুলেশনে সই করেননি। অন্যকোনো বৈঠকের রেজ্যুলেশন খাতায় করা সই হয়তো এখানে দেখিয়েছে।