‘বাংলাদেশী তৈরি ওয়ালটন পণ্য উচ্চমানের। দামের দিক থেকেও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। বিশেষ করে মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া এবং উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করছি ওয়ালটন উত্তরোত্তর আরো ভালো করবে।’ কথাগুলো বলেছেন সৌদি আরবের যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. খালেদ এফ আল ওতাইবি। তিনি আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে একথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ল্যাটিন আমেরিকার দেশ সুরিনামের পরিবহন, যোগাযোগ এবং পর্যটন মন্ত্রী আন্দোজো রুসল্যান্ড এবং মালদ্বীপের অর্থ ও ট্রেজারি প্রতিমন্ত্রী মোহামেদ আশমালী। ওই তিন অতিথির সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট দেশের উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটনের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম খালিদ। এসময় ওয়ালটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) এসএম শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, আলমগীর আলম সরকার, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
সৌদি উপমন্ত্রী আরো বলেন, ”বিশ্বাস করুন, ওয়ালটনের সামনে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে ভালোমানের পণ্য দিয়ে ওয়ালটন সৌদি আরবে তাদের বাজার সম্প্রসারণ করতে পারে।”
সুরিনামের মন্ত্রী আন্দোজো রুসল্যান্ড বলেন, ক্রেতারা সব সময় খোজেন ভালো জিনিস, যত সেরা মূল্যে পাওয়া যায়। ক্রেতাদের এই চাহিদা যারা পূরণ করতে পারে তারাই যোগ্য প্রতিষ্ঠান। সে বিবেচনায় ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। ওয়ালটনের এই বিশেষত্ব আজকের বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানান তিনি।
মালদ্বীপের অর্থ ও ট্রেজারি প্রতিমন্ত্রী মোহামেদ আশমালী বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় চলে যাচ্ছে।
এর আগে অতিথিরা ওয়ালটনের কর্পোরেট ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। তারা ওয়ালটনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর তিন দেশের ওই অতিথিরা ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে রেফ্রিজারেটর, এলইডি টেলিভিশন, ফাউন্ড্রি অ্যান্ড কাস্টিং প্রজেক্ট, মোল্ড অ্যান্ড ডাই সেকশন এবং অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন।