টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের পাচঁ উপজেলার ৩০ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে দুই সহোদরসহ এ পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
জেলার পাহাড়ি ৪টি নদীর ওজানে পানি কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে বন্যার পানি ঢুকেছে শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চললেও পানির প্রবল স্রোত আর পর্যাপ্ত নৌযানের অভাবে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে পানি ১ সেন্টিমিটার এবং নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার চেল্লাখালীর ২৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি এখনো বিপদ সীমার সমান রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রক্ষপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি। শনিবার রাত থেকে প্লবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
নকলা পৌরএলাকাসহ গোটা নকলা উপজেলাই প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঘরের চালে, সিলিংয়ে ও মাচায়। নাকুগাও স্থল বন্দর স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলার অধিকাংশ সড়ক। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়ক। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন উঠতি আমনের ক্ষেত। বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে ধ্বসে ও ভেসে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি। পানিতে ভাসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র। এসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও তা অপর্যাপ্ত।
জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। ৯৫০ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
এম জি