নেত্রকোনায় বন্যায় ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১০-০৯ ১০:৪৭:০১


ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ভারী বর্ষণে নেত্রকোনার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব উপজেলার শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে মানুষের বসতঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমির রোপা আমন ধানের ক্ষেত এবং ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজি। ভেসে গেছে দুই শতাধিক খামার ও পুকুরের মাছ। বন্ধ রয়েছে ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ অবস্থায় অনেকে বসতবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি এবং গ্রামের উঁচু স্থানে বা সেতুতে পরিবার ও গৃহপালিত প্রাণীসহ আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। তবে গোখাদ্যসহ শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে রয়েছেন পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।

জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার মধ্যে দুর্গাপুর এবং কলমাকান্দা উপজেলার কমপক্ষে ১৫টি ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান জানান, বন্যায় জেলায় ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এবং ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজি তলিয়ে গেছে। পানি এক-দুই দিনের মধ্যে সরে গেলে হয়তো তলিয়ে যাওয়া সব ধান বিনষ্ট হবে না। তবে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করতে দু-তিন দিন সময় লাগবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ২০৩টি ফিশারি-পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।’

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন যতদিন না স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, ততদিন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

এনজে