নবীনগরে সুশান্ত হত্যা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১০-১২ ১৭:৩৫:৫৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামের আলোচিত সুশান্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে নৌপুলিশ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামের কবির হোসেন প্রকাশ শুক্কু (২২) পিতা আওলাদ হোসেন, শ্রীঘর মোল্লাবাড়ির জুনায়েদ আহাম্মেদ কায়েস (২৩)পিতা কবির আহাম্মেদ, নাছিরাবাদ গ্রামের মোঃ হক সুজন (২২)পিতা মৃত জাকির হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাসির উদ্দিন বলেন, তাদের আগামীকাল রবিবার কোর্টে তুলে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে এই হত্যাকান্ড মিশনে আরো কারা জড়িত তা বেরিয়ে আসবে।তদন্তের স্বার্থে এর বেশী আর কিছু বলেননি।
গত ২০ আগস্ট মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাসির উদ্দিন। গত ১৯ আগষ্ট সকালে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামে সুশান্ত সরকারের (৩০) এর লাশ গ্রামের পাশে থাকা মেঘনা নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে। নিহত সুশান্তের মা রুপালি রানী সরকার নাছিরাবাদ গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে আশিক ও মোঃ সেলিম মিয়া, শ্রীঘর গ্রামের পাচু মিয়ার ছেলে শাজাহান সিরাজ ও জাকির হোসেন, শাহজাহান সিরাজের ছেলে বাবু প্রকাশ তুহিন ও মোহাম্মদ তুষারকে আসামি করে মামলা করেন।
সুশান্তের মা মামলায় উল্লেখ করেন, আশিকের সাথে মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে আশিক তার দলবল নিয়ে এসে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। পরে মেঘনার পাড়ে আমার ছেলের লাশ ফেলে রেখে যায়।’
আশিকের ভাই আসামী সেলিম মিয়া বলেন, আমরা গ্রাম্য রাজনীতির শিকার, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদেরকে আসামি করা হয়েছে, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সেলিমগঞ্জ নৌ ফাড়ির ইনচার্জ আল আমিন বলেন, মামলা তদন্তাধীন, আরো ব্যাপক তদন্ত প্রয়োজন, ইতোমধ্যে আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি, তাদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বিএইচ