দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন। গরমের কারণে পচন ধরায় ৫০ কেজির পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি করছেন ২০০ টাকায়। আবার কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় ফেলে দিতে হচ্ছে। বাড়তি দামে আমদানি করে কম দামে বিক্রির ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। বন্দরে ভালো মানের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৯৫ থেকে ১০২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যেগুলোতে পচন ধরেছে সেগুলো বন্দর থেকে বের করে নিজস্ব গুদামে নামিয়ে রেখেছেন। খারাপ মানেরগুলো ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর যেগুলোতে পচন ধরেছে সেগুলোর বস্তা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে গতকাল ৩৪টি ট্রাকে ৯৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ভারতের যে স্থান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, এর দূরুত্ব অনেক বেশি। দেশে ঢুকতে ছয়-সাত দিন সময় লাগে। ট্রাকগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢাকা থাকে। ফলে গরমে পচে নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়। ভালোগুলো বন্দরে বিক্রি করতে পারলেও খারাপগুলো নিজস্ব গুদামে নিয়ে রাখছি। সেগুলো শ্রমিক দিয়ে বাছাই করে কিছু ভালো বের হলে অর্ধেক দামে বিক্রি করি। এবার বেশি পরিমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে।’
এনজে