‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বর্তমানে দেশে অগণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার নিদর্শন এই সাম্প্রদায়িক হামলা। আজ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দেশে যখন ঘরে ঘরে খুন-গুম বেড়ে গিয়েছিল তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে নিরাপত্তা দিতে পারবো না’। মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন তারা এর দায় নেবে না। যা অগণতান্ত্রিক চর্চার নিদর্শন।’
নাসিরনগরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হমলাকারীদের বিচার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তমাশ্রী দাস। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকমর্কীরা।
এসময় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মিনহাজুল আবেদিনের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এমন একজন মন্ত্রীর মুখ থেকে ‘মালাউনের বাচ্চা’ শব্দ কখনও শোভা পায় না। এ ইস্যুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।’
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি প্রদীপ মার্ডি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য লিটন দাস, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হিরণময় কুমার হিরণ প্রমূখ।
গত ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের এক যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয় যা মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটে।