কৃষকদের আয় বাড়াতে কোকোর দাম বাড়িয়েছে ঘানা
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১১-১১ ১৫:১১:৪৭
ঘানায় ২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষকদের আয় বাড়াতে কোকোর দাম বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আদ্দো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্স।
গত শুক্রবার কৃষক পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আকুফো-আদ্দো জানান, এখন থেকে প্রতি টন কোকো ৪৯ হাজার ৬০০ ঘানাইয়ান সিডিতে বিক্রি হবে। গত সেপ্টেম্বরে প্রতি টনের দাম ৪৮ হাজার সিডি নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার।
এ বিষয়ে দেশটির কোকো বোর্ডের মুখপাত্র জানান, এরই মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছে। বাড়তি দামের খবরে অক্টোবরে কিছু কৃষক কোকো মজুদ করতে শুরু করেন, যা বিশ্ববাজারে সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কোকো পাচার রোধ ও কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ঘানা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোকো উৎপাদক দেশ।
কোকো বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে পাচারের কারণে ঘানার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কোকোর ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উৎপাদন দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে যায়। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে কোকোর দাম বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে আকুফো-আদ্দো আরো বলেন, ‘কোকোচাষীদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করতে কোকো বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রাইট সিমন্স এসব সিদ্ধান্তের পেছনে আসন্ন নির্বাচনে ভোট আকর্ষণের চেষ্টা থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ার পরিমাণ মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রার বিনিময় হার কমে যাওয়ার সম্মিলিত প্রভাবের তুলনায় অনেক কম। ফলে এর সম্ভাব্য প্রভাব ততটা প্রকট নাও হতে পারে।’
ঘানায় আগামী ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আকুফো-আদ্দো তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন। তিনি ২০১৭ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল প্যাট্রিয়টিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মুদু বাওমিয়া এবং প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আক্রাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ইনফোঅ্যানালিটিকসের জরিপে বলা হয়েছে, ঘানার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকট বর্তমান শাসক দলের বিরুদ্ধে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জন মাহামা বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে মুহাম্মুদু বাওমিয়া একজন অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার। তিনি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রধান কর্তা ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
এনজে