জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ কীভাবে সেনাবাহিনীকে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, বেলাল আহমেদ ও নাসির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহবুব সোহান বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপাচার্য ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সব কাগজপত্র নিয়ে আসবেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে কীভাবে সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়া যায়।
এদিন পাঁচ দফা দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন জবি শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন তারা। এর আগে সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গণপদযাত্রায় দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে
৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ও
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
বিএইচ