আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। এ দিন আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের ২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। ২৩ বলে ২৪ রান করে অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড আউট হন সৌম্য। এরপর পিচে ধরে রাখতে পারেননি তামিমও।
পরের ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ নবীকে কাভার পয়েন্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৯ রান করেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি জাকির হোসেনও। ৭ বলে ৪ রান করে রান আউট হন তিনি। এতে ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ।
তাই পঞ্চম উইকেটে মিরাজ-হৃদয়কে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন হৃদয়। ১৪ বলে ৭ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। তবে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হিসেবে সদ্য অভিষেক করা মিরাজ।
দুজনের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ৬৩ বলে মাহমুদউল্লাহ এবং ১০৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। এতে ১৬০ রানের কোটা পার করে টাইগাররা। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রান। ১১৯ বলে ৬৬ রান করে ৪৬তম ওভারে ক্যাচ আউট হন মিরাজ।
এরপর জাকের আলী ১ রান এবং নাসুম আহমেদ ৫ রান করে আউট হন। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি তুলতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সেঞ্চুরির জন্য ইনিংসের শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল রিয়াদের।
কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। এতে মাহমুদউল্লাহর ৯৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। এ ছাড়াও মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান করে উইকেট নেন।
বিএইচ