আকুর দায় শোধে রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ঘরে

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১১-১১ ২২:০৫:১৯


এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যদিও গত সপ্তাহে বিপিএম হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়নের ওপরে। আর চলতি দায় বাবদ প্রায় সোয়া ৫ বিলিয়ন বাদ দেওয়ায় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ রোববার ছিল প্রায় ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আকু পরিশোধের পর মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকার সোমবার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আকু পরিশোধের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাড়িয়ে ছিল ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

আকু হলো একটি আন্তদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্যপদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকুর সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত।

প্রসঙ্গত, আইএমএফ থেকে মোট ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদ পায় বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬.২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। মোট সাত কিস্তিতে এ ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করা হবে।

এএ