জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে পৌঁছান তিনি।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এই দুই মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার ৯টা ৫০ মিনিটে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়া আদালতের পথে রওনা হন। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন।
অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
বাকিরা জামিনে রয়েছেন। তারা আদালতে হাজির আছেন এবং খালেদা ও তারেক রহমানের পক্ষে তাদের আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। অন্যদিকে, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি চারজন।
অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।