ইসলামী বিশ্ববিদ্যলায়ের উপচার্যবাহী গাড়ির চাকার ছয়টি নাটের পাঁচটি নাট পরে যাওয়ায় একটি নাটে জীবন রক্ষা হলো উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রাশিদ আশকারীর জীবন। বৃহষ্প্রতিবার সকাল সড়ে নয়টায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে লালন উৎসবে মুখ্য আলাচক হিসেবে আমন্ত্রন পান ইসলামী বিশ্ববিদ্যলয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ আশকারী। সে জন্য কুষ্টিয়া শহরের ছেউড়িয়ায় লালন আখড়ায় যাওয়ার জন্য সকাল নয়টায় বি¥ববিদ্যলয় থেকে উপাচার্যবাহী গাড়ী যোগে রওয়ানা দেন। গাড়িটি স্বাবাভিক ভাবে না চলায় চালক আসাদের সন্দেহ হয়। পরে কুষ্টিায়া খুলনা-মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরের নিকট ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো কোম্পানীর সামনে গাড়ী পার্কিং করে। তখন চালক আসাদ দেখতে পায় গাড়ির পেছনের বামের চাকার ছয়টি নাটের মধ্যে পাঁচটি নাট পরে যায়। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়। পরে গাড়িটি সাভিসিং সেন্টারে রেখে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ আশকারী অন্য গাড়িযোগে লালন আখড়ায় যান।
গাড়ির চালক আসাদ বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুদুর যেতেই স্বভাবিক ভাবে না চলায় আমার সন্দেহ হয়। পরে গাড়ি পার্কিং করে দেখি যে পেছনের বাম চাকার ছয়টি নাটের পাঁচটি পরে গেছে, গাড়ি এভাবে চলতে থাকলে দুই তিন মিনিটের মধ্যে বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যেত পারত।”
এদিকে এঘটনা নিয়ে অনেকে সন্দেহ পোষন করেছেন। এটা হয়ত কোনো পূর্বপরিকল্পিত দূর্ঘটনা। বিশ্বববিদ্যলয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, জিযা পরিষদ, গ্রীণ ফোরাম সহ বিভিন্ন সংগঠন উক্ত দুর্ঘটনার নিন্দা জানান পাশাপাশি এ দূর্ঘটনার তদন্তের দাবি জানান।
উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ আশকারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ এ দূর্ঘটনা কোনো সাধারণ দূর্ঘটনা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে আমাকে বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে এ দূর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসনকে জানেিয়ছি।”