রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি ফজলুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়াও শোক জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোশিয়েশন) পক্ষ থেকে।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান তিনি।
১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফজলুল করিম চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর।
ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৯ লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল' হন।
১৯৬৫ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বিচারপতি ফজলুল করিম ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগে যোগ দেন।
এনজে