প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন খায়রুল ইসলাম। তিনি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা।
শুক্রবার রাত ৯টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে খায়রুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান।
আবদুল বাতেন জানান, খায়রুল বিভিন্ন জায়গায় ফাহিম, রিফাত, জামিল ও জিসান নামে পরিচয় দিতেন। তিনি মূলত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান।
যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল স্বীকার করেছে যে, সে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।’
খায়রুল জানিয়েছেন, ব্লগার-প্রকাশকদের হত্যাসহ যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার নির্দেশনা এসেছে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার কাছ থেকে।
মেজর জিয়া দেশের ভেতরে আছেন বলেও তথ্য দিয়েছেন খায়রুল। গোয়েন্দাদের কাছে তিনি জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে ঢাকার আশপাশের কোনো এক জায়গায় তাদের সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে মেজর জিয়া আত্মগোপনে রয়েছেন।
গত বছরের ৭ আগস্ট ঢাকার বাসাবো এলাকার গোড়ানে নিজ বাসায় ঢুকে খুন করা হয় ব্লগার নিলয়কে। এরপর ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটের জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।