আসছে শীত। শুরু হয়ে গেছে শীতের প্রস্তুতি। দেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল এবারের শীতে বাজারে এনেছে নতুন মডেলের কিছু হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। এর মধ্যে রয়েছে রাইস কুকার, ইস্ত্রি বা আয়রন, ইলেকট্রিক কেটলি, ইন্ডাকশন কুকার ও রুম হিটার ইত্যাদি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সহজে ব্যবহার উপযোগী বলে দেশে হোম এ্যাপ্লায়েন্সের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে দেশে তৈরি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এ্যাপ্লায়েন্সের দাম কমে যাওয়ায় ঘরে ঘরে প্রযুক্তি পণ্যের ছোঁয়া লেগেছে। দিন দিন এসব পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ছে। এই বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনা করেই মার্সেল বাজারে নিয়ে আনছে নতুন নতুন মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস।
মার্সেল সূত্রমতে, ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত তিন মাসে ২০১৪ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি হয়েছে। এবারের শীতে গতবারের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মার্সেল। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যাপক প্রস্তুতিও নিয়েছে তারা। মজুদ ব্যবস্থাপনা ও বিপণন কৌশলে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে, দেশব্যাপী মার্সেলের আউটলেটগুলো সাজানো হয়েছে নতুন নতুন হোম এ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে। গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন বাজারে রয়েছে মার্সেলের প্রায় ৩০ মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। এর মধ্যে আছে ১০ মডেলের রাইস কুকার; ৫ মডেলের ব্লেন্ডার; ৪ মডেলের আয়রন বা ইস্ত্রি; ৩টি করে ইলেকট্রিক কেটলি এবং রুম হিটার; ১টি মডেলের ইন্ডাকশন কুকার ইত্যাদি। মার্সেলের শক্তিশালী আরএন্ডডি (পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা) টিমের প্রকৌশলীরা গ্রাহকদের রুচি, চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী এসব পণ্যের ডিজাইন তৈরি করেছে। পণ্যের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিতে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করছে জিরো টলারেন্স নীতি।
মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শীতে বাসাবাড়িতে গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়। আর তাই রান্না-বান্নার কাজকে সহজ করতে মার্সেল বাজারে ছেড়েছে ইন্ডাকশন কুকার। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় ইন্ডাকশন কুকারে।
মার্সেল বিপণন বিভাগের (উত্তর) প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, এবছর মার্সেল ব্র্যান্ডের সকল পণ্যের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। বিশেষ করে, হোম এ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা শীতকালে বৃদ্ধি পায়। আর এই বাড়তি চাহিদা পূরণে বেশ কিছু নতুন মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে ছাড়া হয়েছে। এবারের শীতে গতবারের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছে।
বিপণন বিভাগের আরেক প্রধান (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন বলেন, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করায় গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে মার্সেল। তিনি আশা করেন, গ্রাহকদের চাহিদা ও ক্রয় সক্ষমতা অনুযায়ী মান সম্পন্ন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে মার্সেল।
উল্লেখ্য, মার্সেলের রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় দুই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী সারা দেশে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাজ করছেন।