অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা। ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে ওই সড়কে ছয়দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, মহানগরীর সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত কয়েক মাস ধরে শ্রমিকরা প্রতিমাসের বেতনসহ বিভিন্ন দাবি আন্দোলন করে আদায় করেছে। আশপাশের প্রায় সব কারখানার বেতন ভাতা পরিশোধ করা হলেও চলতি মাসের ২১ তারিখ হয়ে গেলেও বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বেতন পাননি। তাই বেতনের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কারখানা থেকে কিছু সামনে চক্রবর্তী এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতেই ওই সড়কের দু’পাশে দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ছয়দিন ধরে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। অনেককে ছোট যানে করে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো পার্কে স্টাফসহ ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসে তাদের বেতনের পরিমাণ ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতিমাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু মালিকদের কেউ না থাকায় এখন বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তাদের অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত সড়ক থেকে সরে যাবেন না।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা তাদের বেতনের দাবিতে ছয়দিন ধরে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে আসছিল। কিন্তু শ্রমিকরা সেই আশ্বাস না মেনেই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন
পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রশাসনসহ কেউই শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকেই সরাতে পারছে না। শ্রমিকরা বেতন না পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক থেকে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এনজে