চীনে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে সয়াবিন উৎপাদন ১ কোটি ৯৯ লাখ টনে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস)।
চীনে সয়াবিন উৎপাদন ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে ১ কোটি ৯৯ লাখ টনে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস)। সংস্থাটির মতে, দেশটিতে চলতি বছর ৯৯ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে। তাছাড়া ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদন বাড়তে পারে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন।
এ বিষয়ে এফএএস জানায়, পূর্বাভাস বাস্তবায়ন হলে আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন সামান্য বাড়বে। ২০২৩-২৪ সালে ১ কোটি ৯৭ লাখ টন উৎপাদনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টন। চলতি বিপণন বর্ষে আমদানি কিছুটা কমে ১০ কোটি ৪ লাখ টনে নেমে যেতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২৪-২৫ সালে প্রারম্ভিক মজুদ ৩ কোটি ৬৪ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে, আগের বিপণন বর্ষে যা ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ টন।
সংস্থাটি আরো জানায়, চীনে ২০২৩-২৪ বিপণন বর্ষে অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে সয়াবিনের দাম ও মুনাফা কমে যায়। ফলে ২০২৪-২৫ সালে সয়াবিন চাষের পরিমাণ কিছুটা কমে এসেছে। যদিও সয়াবিন চাষে ভর্তুকি অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
এফএএসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য হিসেবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সয়াবিনের চাহিদা কমে গেছে। একই সঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন খাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়া সয়াবিন আমদানীকৃত সয়াবিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
এদিকে ২০২৪-২৫ সালে ভোজ্যতেল উৎপাদনে ব্যবহৃত মোট বীজের পরিমাণ ১৩ কোটি ৭৩ লাখ টনে পৌঁছবে বলে এফএএস পূর্বাভাস দিয়েছে, যা ২০২৩-২৪ সালে ছিল ১৩ কোটি ৫৩ লাখ টন। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের চাহিদা ও পশুখাদ্য খাতে সয়াবিনের ব্যবহার বাড়ায় এ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এনজে