ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-১১-২১ ১৬:৫২:২২


পাকিস্তান থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সম্প্রতি আমরা একটি রিকুয়েস্ট পেয়েছি। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা সিভিল অ্যাভিয়েশন মিনিস্ট্রিকে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে এটার আপডেট জানা যাবে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমারা বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনকে জানিয়েছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে দু’দেশের পারস্পরিক যে সম্পর্ক রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এটি মোটেই কাম্য নয়।

তিনি জানান, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মোট ২৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন যেখানে প্রায় সবক্ষেত্রেই রোহিঙ্গা সমস্যার কথা পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা তিনটি প্রস্তাব দেন যার অন্যতম ছিল অল স্টেকহোল্ডারস কনফারেন্স আয়োজনের আহ্বান। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিবকে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে উপস্থাপিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক একটি রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতিসংঘের ১০৬ টি সদস্যরাষ্ট্র এটি কো-স্পন্সর করে, যা এ রেজ্যুলেশনের প্রতি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, রেজ্যুলেশনটিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনসহ এ সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে, সামগ্রিক পর্যালোচনার মাধ্যমে, একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ভর পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য, সব অংশীজনের সমন্বয়ে ২০২৫ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক একটি উচ্চপর্যায়ের কনফারেন্স আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। সর্বসম্মতিক্রমে এ রেজ্যুলেশন গৃহীত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রযাত্রা রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।

বিএইচ