শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সদর বাজারে ৪তলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুটি দোকান ও একটি ঔষধের গোডাউন ভস্মীভূত হয়েছে। প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আহত হয়েছে ২জন। তবে অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গেছে ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, নকলা বাজারের হলপট্টি এলাকায় একটি ৪তলা ভবনে কাজল মেডিকেল হল, একটি ওষুধের গোডাউন ও একটি স্টেশনারি দোকান রয়েছে। একই ভবনের ওপরের তলায় নূরে মদিনা মডেল মাদ্রাসা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে কাজল মেডিকেল হলের মালিক কামরুজ্জামান কাজল ও স্টেশনারি মালিক কামাল মিয়া দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। এরপর রাত আড়াইটার সময় কাজল মেডিকেল হল থেকে নিচতলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভবনের চারতলায় আটকা পড়ে মাদ্রাসার আবাসিক শাখার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ঘটনা বেগতিক দেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী ভবনের ছাদ থেকে আটকে পড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন। প্রাণে রক্ষা পায় ৪০ জন। উদ্ধারের সময় এক উদ্ধারকর্মী ও এক নারী আহত হলে তাদের নকলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে আসা ফায়ারসার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ারসার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দোকান মালিক কামরুজ্জামান কাজল জানান, তার একটি ঔষধের দোকান রয়েছে। সে পাইকারি ও খুচরা ঔষধ বিক্রেতা। ওই ভবনেই তার ওষুধের গোডাউন ছিল। আগুনে দোকান ও গোডাউনের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। অপর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী কামাল হোসেন জানান, তার দোকানের দুই লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মো. জুনায়েদ হোসেন বলেন, আমরা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। আমাদের বের হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। এলাকাবাসী আমাদেরকে পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং দিয়ে উদ্ধার করেন।
এম জি