প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। এই ভয়ে মুসলিম ও ইহুদিরা একত্রিত হয়েছেন। তারা গঠন করেছেন নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠন। বিরল এ সংগঠনের নাম দেয়া হয়েছে মুসলিম-জিউস এডভাইসরি কাউন্সিল (এমজেএসি)। এতে গুরুত্বপূূর্ণ পদে যেমন রাখা হয়েছে ইহুদিদের, তেমনি রাখা হয়েছে মুসলিমদের। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্পের অধীনে নিজেদের রক্ষার লড়াই এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘুরা। ইহুদি ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও তারা নিজেদেরকে রক্ষার জন্য গঠন করেছেন এমজেএসি। এর মধ্য দিয়ে তারা ধর্মীয় নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বিভক্তি কত গভীরে পৌঁছে গেছে তার একটি উদাহরণ এটি। এমজেএসি’তে গুরুত্বপূর্ণ পড়ে রাখা হয়েছে ডেমোক্রেট দলের সাবেক সিনেটর জোই লিবারম্যান, রিপাবলিকান দলের সানেক সিনেটর নর্ম কোলম্যানকে। এ ছাড়া রয়েছেন ব্যবসায়ী ফারুক কাথওয়ারি। তিনি ইথান এলিয়েন নামের প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া রয়েছেন লেখিকা রাবিয়া চৌধুরী।
এ কমিটি গঠন নিয়ে ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা ও দ্য আমেরিকান জিউস কমিটির সদস্যদের মধ্যে কয়েক মাস আগেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। এ সপ্তাহে এ কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটির প্রতিষ্ঠাতারা সতর্কতার সঙ্গে এতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প বা তার বিতর্কিত কোনো মন্তব্য যুক্ত করেন নি। মুসলিম-ইসুটি সম্পর্ক বিষয়ক পরিচালক বব সিলভারম্যান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
আমরা দেখেছি, এ দুটি সম্প্রদায়ের কাছাকাছি থাকা উচিত কৌশলগতভাবে। বিভিন্ন ইস্যুতে এ দুটি সম্প্রদায় পাশাপাশি কাজ করে। তাহলে অন্য ক্ষেত্রে কেন তারা তা পারবে না। ১৪ই নভেম্বর এ কমিটির ঘোষণা দিয়ে তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ স্থানীয় মুসলিম ও ইহুদিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে নতুন গ্রুপ ‘দ্য মুসলিম-জিউস এডভাইসরি কাউন্সিল’। ব্যবসা বাণিজ্য, রাজনীতি সহ অভিন্ন ইস্যুতে এ কাউন্সিল একসঙ্গে কাজ করবে।