বিতর্কিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম। মামলায় ২৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহন করে বিকেলে আদেশ দেন।
আদেশে ঋণখেলাপি মামলায় এস.আলম গ্রপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার ভাই আবদুস সামাদ লাভুর দুই ব্যাংকের শেয়ার জব্দের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে এই ঋণের এত বড় অনিয়ম কিভাবে হলো সেটির তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে-(দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের শেয়ার থাকা ব্যাংক দুটি হচ্ছে- আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এস. আলম গ্রপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা না মেনে ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নেয়। ২০১২ সালে সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় এই প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৬১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এলটিআর (লোন ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সিসি হাইপো ঋণ। সুদ-আসলে মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। এস. আলম গ্রুপের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত ছিল।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৪ সাল থেকে এস.আলম গ্রুপ জনতা ব্যাংকের গ্রাহক। চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত করপোরেট শাখার দেওয়া ঋণের ৮০ শতাংশের বেশি নিয়েছে এই এস. আলম। এই শাখায় এস.আলম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা। যার পুরোটাই খেলাপি। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে বন্ধক রয়েছে মাত্র ২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার জমি ও স্থাপনা।
এএ