নদী ও পরিবেশ রক্ষায় আইনের প্রয়োগ করা হবে: শারমিন মুরশিদ
আপডেট: ২০২৪-১২-০৭ ১৫:৪৯:৩৮
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেছেন, এই সরকার চায় দেশটা যেন একটা সবুজ দেশ হয়। আমরা আইনের শাসন চাই। পরিবেশ, নদী রক্ষায় আইন প্রয়োগ করা হবে। পরিবেশ ধ্বংস, মানুষ ধ্বংস, শিশু ধ্বংস সবকিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবন্ধ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর আয়োজনে দ্বিতয়ি জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিহত না করতে পারি তাহলে এই পরিবর্তন এই সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা যে সভ্যতা গড়ে তুলেছি তা অত্যন্ত সংকটে নিমজ্জিত। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে নদী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাকে এখন আর দেখি না। এরইমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে এবং এর জন্য আমাদের কোনো দায় নেই। পশ্চিমা এবং উন্নত দেশগুলো জলবায়ু উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। যে দায়ী দেশগুলো উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে তাদেরকেই ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আমাদেরকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কীনোট স্পিকার লিডি ন্যাকপিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি এবং খাদ্যকে প্রভাবিত করছে যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে পৃথিবীর দক্ষিণের দেশগুলোতে। আমরা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সমস্যার সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় তহবিল জরুরি। কপ -২৯ এই তহবিল আদায়ের জন্য ব্যর্থ হয়েছে। এই তহবিল তৈরির জন্য আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ নামের এমন আয়োজন পৃথিবীতে এটাই প্রথম। আমরা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো এটি আয়োজন করছি। এই আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অংশগ্রহণই সবচেয়ে বেশি। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জালাল আহমেদ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, ভাইস চ্যান্সেলর, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, মো. শামসুদ্দোহা, চিফ এক্সিকিউটিভ, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর রিনিউএবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরইএসএল) এবং রাবেয়া বেগম, নির্বাহী পরিচালক, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস) প্রমুখ।
বিএইচ