ভাই-বোন থাকা অনেক মজার বিষয়। একসঙ্গে সময় কাটানো বা খুনসুটি সব সময় উপভোগ্য হয়। যমজ থাকা আরো বেশি মজার। তবে যমজদের বেশ কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। এটা একমাত্র তারাই বোঝেন। বড় হতে হতে এসব সমস্যার শুরু এবং তা চলমান থাকে। এখানে দেখে নিন যমজদের এমন ৫টি বিড়ম্বনার কথা।
১. পরিচয়ের সমস্যা: যদিও তারা একই পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহারকে মজার বিষয় বলে মনে করেন, কিন্তু এটা ব্যাপক সমস্যার জন্ম দেয়। এ সময় তারা নিজ পরিচয় হারিয়ে ফেলেন। পরিচিত মানুষরাও দুজনকে চিনতে পারেন না। এ নিয়ে পেরেশানিতে পড়ে যান অন্যরা। বড় হওয়ার পরও এ সমস্যা থেকে যায়।
২. প্রতিযোগিতার চাপ: এমনটা ঘটে যখন তারা স্কুল বা কলেজে পড়েন। তাদের মেধা ও পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করতে পছন্দ করে বন্ধুরা। এ নিয়ে তারা এক ধরনের প্রতিযোগিতার চাপে পড়ে যান। তাদের আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন সবাই। এদের একজন লেখাপড়ায় খুব ভালো হতে পারেন, অন্যজন হয়তো মোটেও ভালো না। যিনি অপরজনের থেকে পিছিয়ে থাকেন, সাধারণত তার ওপর বন্ধু ও পরিচিতদের চাপ বাড়ে।
৩. প্রতিযোগিতায় মানিয়ে নেওয়া: সাধারণত যমজরা দেখতে এক হলেও তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন থাকে। তারা ভিন্ন ভিন্ন গুণের চর্চায় বড় হতে থাকেন। কিন্তু বাবা-মা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং বন্ধুরা দুজনের মাঝে যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেন, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে দুজন হিমশিম খান। এক পর্যায়ে অপরজনকে নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা চলে আসে। একজন অন্যজনকে দমিয়ে রাখতে চান।
৪. পেশা বেছে নেওয়া: জীবনে ভিন্ন পথ বেছে নিতে পারেন তারা। কারণটা আগেই বলা হয়েছে। মানসিকতার দিক থেকে তারা ভিন্ন ভিন্ন। পেশাগত দিক থেকেও তারা আলাদা পথে হাঁটতে পারেন। একজন হয়তো মেধাবী শিক্ষার্থী। তার ইচ্ছা হয়তো ইঞ্জিনিয়ার হবেন। অন্যজন তার মেধা চিত্রকর্ম তৈরিতে খাটাতে চান। এর অর্থ এই নয় যে, দুজনের মাঝে পার্থক্য করতে হবে। কিন্তু অনেকেই করে থাকেন। এর প্রভাব পড়ে দুজনের ওপর। যমজদের জন্য ক্যারিয়ার বেছে নেওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেন আশপাশের মানুষরা।
৫. বয়সের সঙ্গে জীবনমানের তুলনা : এটাও ঘটতে থাকে যমজদের ক্ষেত্রে। বয়সে সঙ্গে কে বেশি এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা ঘটে। একজন হয়তো বয়সের সঙ্গে আরো ভালো জীবন পাচ্ছেন। কিন্তু অন্যজন তেমনটা পাচ্ছেন না। তখন দুজনের ব্যক্তিত্বের সংঘাত ঘটে। একে উস্কে দেয় পরিচিত মানুষরা। এই জীবনমানের চাপ দুজনকেই সহ্য করতে হয়।