মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মামলার আইনজীবীদের হয়রানি না করার নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগে একটি আবেদন করা হয়েছে।
মামলার এক আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, মামলা দু’টি চলাকালীন প্রধান আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেনকে সহযোগিতায় অন্য আইনজীবীদের হয়রানি না করতে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা না দেয়া হয়, এ ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ঠ শাখায় ওই দুই মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিনের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করা হয়।
আবেদনে এ দু’জন ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবীকেই যেন হয়রানি না করা হয় এ ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বেলা ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
প্রসঙ্গত, আইনজীবী শিশির মুনিরের বাসায় ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তিনি বাসার বাইরে অবস্থান করছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা বিরতির পর ডিবি পুলিশসহ আরো অনেক পোশাকধারী পুলিশ তার মোহাম্মদপুরের বাসায় আবারো তাকে খুঁজতে আসে এবং তাকে না পেয়ে তার গাড়িচালক আ. আজিজকে নিয়ে যায়।
আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিনকে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ের কড্ডার মোড় থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ডিবি পুলিশ বাস থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তার বড় ভাই সালাহ উদ্দিন জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে ওই আইনজীবীদের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স আইনজীবীদের বাসায় পুলিশের অভিযান পরিচালনা ও ডিবি কর্তৃক একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে যাওয়া আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার শামিল।
সানবিডি/ঢাকা/জেএইচ/এসএস